জাতীয় নাগরিক কমিটি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি থানায় প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে সংগঠনের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়েছে, “ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশের সব থানায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কমিটি গঠন করা হবে। ব্যালট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত থাকুন। বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করুন।”
এর আগে, গত ২ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানাভিত্তিক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিল জাতীয় নাগরিক কমিটি। এতে জানানো হয়, প্রতিটি কমিটিতে অন্তত ২৫ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখা হবে। এছাড়াও কমিটির প্রতিনিধিদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ থাকবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জন্য থাকবে আরও ৫ শতাংশ। কৃষক-শ্রমিক শ্রেণি থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিত্বও থাকবে কমিটিতে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনকে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করে নতুন এই প্ল্যাটফর্ম। একই দিনে সংগঠনটি ৫৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে।
নাগরিক কমিটি নিজেদের একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেছে, তারা দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠনের জন্য জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেবে এবং সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথ তৈরি করবে।